স্টাফ রিপোর্টার সুমন খান
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন দেশপ্রেমিক বাঙালির হৃদয়ে।
গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও রমযানের তাৎপর্য শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই, তিনি অমর। তাঁর কীর্তিই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে। তাঁর আদর্শ চির জাগ্রত। তাঁর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সবাইকে এ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে।
স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংস ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রায় সপরিবারে স্বাধীনতার মহানায়কে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা করা না হতো তাহলে বাংলাদেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত।
মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সফলতার ভিত্তি হলো আমাদের স্বাধীনতা। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আমরা আজ বাংলাদেশকে এই জায়গায় দাড় করাতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু যেমন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, তেমনি স্বাধীনতা আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।
রমযানের তাৎপর্য সম্পর্কে ধর্মমন্ত্রী বলেন, রমযান মুসলমানের জন্য প্রশিক্ষণ বা অনুশীলনের মাস। এক মাস সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে সকল ধরণের পাপকার্য থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সহিষ্ণুতা, শৃংখলাবোধ, পরোপকার, সৎচিন্তা ও সৎ জীবনযাপনের যে অনুশীলন করা হয়, সেটি জীবনের বাকি সময়ে প্রতিপালন করার মধ্যেই রোজার মূল তাৎপর্য নিহিত।
জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে অভিহিত। দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি গণমাধ্যমে সরকারের গঠণমূলক সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকেও দেশবাসির সামনে তুলে ধরার অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক সকালের সময় প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. নূর হাকিম বলেন, সাংবাদিক ও সংবাদপত্রকে শক্তিশালী করার জন্য বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে।
তথ্য বিভ্রাট অপসাংবাদিকতা ও গুজব রুখে দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদ সরকারের গঠনমূলক সমালোচনাসহ যে কোনো সংকটময় মূহুর্তে মাতৃভূমিকে ভালোবেসে সরকারের সহযোগি হিসেবে কাজ করার আশাবাদ তিনি ব্যক্ত করেন।
তিনি আরো বলেন, যদিও জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদ পত্রিকার মালিকদের সংগঠন তথাপি সারা বাংলাদেশের পেশাদার সাংবাদিকরা এই সংগঠনে সহযোগি সদস্য হতে পারবেন বলে মো. নূর হাকিম তার বক্তব্যে বলেন, এসময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক অগ্রসর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, ডেইলি নিউজ স্টার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. শাহজাহান আলি গোলজার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও দৈনিক কালের বাণী পত্রিকার সম্পাদক ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন (বন্যা), স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক নতুন দিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. ইদ্রীস আলি নান্টু।
পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন দৈনিক ঐশী বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এ আর এম মহিউদ্দিন খান ফারুকী, দৈনিক বাঙালী কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. শফিউল আজম, দৈনিক অনুপমা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. রোকুনুজ্জামান রোকন, দৈনিক নববাণী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এ এন এম সলিমুল্লাহ সরকার, দৈনিক মাতৃছায়া পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এ এইচ এম মোতালেব খান, দৈনিক আশ্রয় প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. বেলায়েত হোসেন, দৈনিক নিখাদ খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আ হ ম তারেক উদ্দীন, দৈনিক বাংলাদেশ খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক জনবাণী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. শফিকুল ইসলাম, দৈনিক সমাবেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রবিউল ইসলাম, দৈনিক বাংলার ডাক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. মনোয়ার হোসেন সিদ্দিকী, দৈনিক অন্য দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সীমা আক্তার, দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অয়ন আহমেদ, দৈনিক উন্নয়নের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ফয়সল আলম।