Dhaka ০৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রারের দুর্নীতির প্রতিবাদে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি ব্যাহত

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৬৪ Time View

রামগঞ্জ (লক্ষীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষীপুরের রামগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা দুনীর্তি ও অনিয়মের অভিযোগে দলিল লেখকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বুধবার শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকায় জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে. দলিল রেজিস্ট্রির সময় নানা অজুহাতে দলিলপ্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায়, সেরাস্তার নামে সরকারী বিধি বহির্ভূত ভাবে সাফ কবলা দলিল, হেবা দলিল, বন্টক নামা দলিল, অছিয়ত নামা দলিল, মটগেজ দলিল, দানপত্র দলিল, ভ্রম সংশোধন দলিল সহ সকল দলিল থেকে করনিকের মাধ্যমে প্রতি লাখে ৬শত টাকা হারে আদায় করছে। সরকার বন্টক নাম দলিল, অছিয়ত নামা দলিল, মটগেজ দলিল, ভ্রম সংশোধন দলিলে সামান্য পরিমান ফি নির্ধারন করলেও এসকল দলিল সাব-রেজিস্ট্রারের সাথে কন্ট্রাক করে করতে হয়। এসব দলিলে তিনি খেয়াল খুশি মত মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। তিনি রামগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে যোগদানের পর থেকে দলিল লেখকরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কোনো অসুস্থ ব্যক্তির দলিল রেজিস্ট্রি করতে ঢাকায় যেতে হলে কমিশন হিসেবে তিনি প্রতি দলিলে ৫০ হাজার টাকা, উপজেলার মধ্যে ১০ হাজার টাকা আদায় করে। একই খতিয়ানে একই দিনে একাধিক দলিল হলে প্রতি দলিল বাবত ৪/৫ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে। ভোক্তভুগী শৈলখালী গ্রামের মোঃ বেলায়েত হোসেন,সোন্দড়ার শামসুল আলম বলেন, আঙ্গাপাড়া মৌজার সম্পত্তি ক্রয়ের পর দলিল করতে গেলে সাব-রেজিস্ট্রার তা আটকিয়ে দেয়। চুক্তিভিত্তিক টাকা দেওয়ার পরে ৪ দলিলে রেজিঃ করে সাব-রেজিস্ট্রার।
এদিকে দলিল লেখকদের কর্মবিরতির কারণে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা সিরাজ, লোকমান সহ কয়েকজন বলেন, তিনি অফিসে এসে দেখেন দলিল লেখকদের কর্মবিরতি চলছে। জমি রেজিস্ট্রি করতে না পারায় তাঁরা দুর্ভোগে পড়েছেন। ঈদের পর থেকে সাব রেজিস্টার ছুটিতে ছিলেন বুধবার থেকে তিনি আসলেও লেখকদের কর্ম বিরতির কারনে জমি রেজিষ্ট্রি করতে পারিনাই।
রামগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফাা ভূাইয়া বলেন, সেরেস্তার নামে অবৈধভাবে ৬ পার্সেন্ট নিচ্ছে। খারিজ না থাকলে দলিল আটকায় কিন্ত অতিরিক্ত টাকা দিলে রেজিস্টি হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকায় কর্মবিরুতি চলছে।
দলিল লেখকদের কর্ম বিরতি প্রসঙ্গে রামগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা নেই। আমি ১৫দিন ছুটিতে ছিলাম আজ যোগদানের পর জানতে পারলাম লেখকরা কর্মবিরুতিতে আছেন।
দলিল লেখকদের কর্ম বিরতি প্রসঙ্গে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন ইসলামকে বার বার মোবাইলে ফোন দিয়েও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রামগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ নুর হোসেন রিপন
তাং:২৮/০৪/২০২৪ ইং

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

রামগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রারের দুর্নীতির প্রতিবাদে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি ব্যাহত

Update Time : ১১:৩৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

রামগঞ্জ (লক্ষীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষীপুরের রামগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা দুনীর্তি ও অনিয়মের অভিযোগে দলিল লেখকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বুধবার শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকায় জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে. দলিল রেজিস্ট্রির সময় নানা অজুহাতে দলিলপ্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায়, সেরাস্তার নামে সরকারী বিধি বহির্ভূত ভাবে সাফ কবলা দলিল, হেবা দলিল, বন্টক নামা দলিল, অছিয়ত নামা দলিল, মটগেজ দলিল, দানপত্র দলিল, ভ্রম সংশোধন দলিল সহ সকল দলিল থেকে করনিকের মাধ্যমে প্রতি লাখে ৬শত টাকা হারে আদায় করছে। সরকার বন্টক নাম দলিল, অছিয়ত নামা দলিল, মটগেজ দলিল, ভ্রম সংশোধন দলিলে সামান্য পরিমান ফি নির্ধারন করলেও এসকল দলিল সাব-রেজিস্ট্রারের সাথে কন্ট্রাক করে করতে হয়। এসব দলিলে তিনি খেয়াল খুশি মত মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। তিনি রামগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে যোগদানের পর থেকে দলিল লেখকরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কোনো অসুস্থ ব্যক্তির দলিল রেজিস্ট্রি করতে ঢাকায় যেতে হলে কমিশন হিসেবে তিনি প্রতি দলিলে ৫০ হাজার টাকা, উপজেলার মধ্যে ১০ হাজার টাকা আদায় করে। একই খতিয়ানে একই দিনে একাধিক দলিল হলে প্রতি দলিল বাবত ৪/৫ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে। ভোক্তভুগী শৈলখালী গ্রামের মোঃ বেলায়েত হোসেন,সোন্দড়ার শামসুল আলম বলেন, আঙ্গাপাড়া মৌজার সম্পত্তি ক্রয়ের পর দলিল করতে গেলে সাব-রেজিস্ট্রার তা আটকিয়ে দেয়। চুক্তিভিত্তিক টাকা দেওয়ার পরে ৪ দলিলে রেজিঃ করে সাব-রেজিস্ট্রার।
এদিকে দলিল লেখকদের কর্মবিরতির কারণে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা সিরাজ, লোকমান সহ কয়েকজন বলেন, তিনি অফিসে এসে দেখেন দলিল লেখকদের কর্মবিরতি চলছে। জমি রেজিস্ট্রি করতে না পারায় তাঁরা দুর্ভোগে পড়েছেন। ঈদের পর থেকে সাব রেজিস্টার ছুটিতে ছিলেন বুধবার থেকে তিনি আসলেও লেখকদের কর্ম বিরতির কারনে জমি রেজিষ্ট্রি করতে পারিনাই।
রামগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফাা ভূাইয়া বলেন, সেরেস্তার নামে অবৈধভাবে ৬ পার্সেন্ট নিচ্ছে। খারিজ না থাকলে দলিল আটকায় কিন্ত অতিরিক্ত টাকা দিলে রেজিস্টি হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকায় কর্মবিরুতি চলছে।
দলিল লেখকদের কর্ম বিরতি প্রসঙ্গে রামগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা নেই। আমি ১৫দিন ছুটিতে ছিলাম আজ যোগদানের পর জানতে পারলাম লেখকরা কর্মবিরুতিতে আছেন।
দলিল লেখকদের কর্ম বিরতি প্রসঙ্গে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন ইসলামকে বার বার মোবাইলে ফোন দিয়েও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রামগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ নুর হোসেন রিপন
তাং:২৮/০৪/২০২৪ ইং