Dhaka ১১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি রাস্তার গাছ ছ মিলে আটক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:০৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • ৭০ Time View

তারাগঞ্জ প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সরকারি রাস্তার গাছ বিক্রি করে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রাস্তার পার্শ্ববর্তী জমির মালিক। জ

শনি ও রবিবার বিক্রি হওয়া ওই গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনা জানাজানি হলে খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে উপজেলা বন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে কর্তনকৃত গাছগুলো আটক করে ছ মিলের মালিকের জিম্মায় রাখেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৬-৭টি গাছ কাটা হয়েছে। আরো কয়েকটি গাছের গোড়ায় কাটার চিহ্ন রয়েছে। কেটে নিয়ে যাওয়া কয়েকটি গাছের গুঁড়ি কাঁদামাটি দিয়ে ঢেকে দিয়ে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। গাছের গুঁড়ি দেখলে বুঝা যায় একেকটি গাছের মূল্য ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার উপরে। সেখান থেকে বুড়িরহাটে রউফের ছ মিলে রাখা গাছের গুঁড়িগুলো দেখেল বুঝাই যায় গাছগুলো আড়াই লক্ষাধিক টাকার উপরে বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান জানান, রবিবার দুপুরে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই, শনিবার কয়েকটি গাছ কেটে নিয়ে গেছে কাঠ ব্যবসায়ীরা। আরো কয়েকটি গাছ কাটার কাজ চলছে। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেই এবং শনিবারে কাটা গাছগুলো কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ নেই। গাছগুলো কে বিক্রি করেছে এবং কে কত টাকায় কিনেছে সবকিছু খোঁজ নেই। সেখানে জানতে পারি, সয়ার ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের দুই পুত্র আফজালুল হক ও আনিছুল হক (আনিছ প্রিন্সিপাল) সরকারি রাস্তার প্রায় ৬টি গাছ বিক্রি করেছেন। গাছগুলো প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করেছেন সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী কালা মিয়ার কাছে। ওই ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানতে পারি গাছগুলো বুড়িরহাটের আব্দুর রউফের ছ মিলে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে গাছগুলো চিহ্নিত করে সময় স্বল্পতার কারনে ছ মিলের মালিকের জিম্মায় রেখে আসি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি রাস্তার গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ও চৌকিদার কেউই আমাকে কিছুই জানায়নি। তাই আমি এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। ###

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

সরকারি রাস্তার গাছ ছ মিলে আটক

Update Time : ১০:০৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

তারাগঞ্জ প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সরকারি রাস্তার গাছ বিক্রি করে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রাস্তার পার্শ্ববর্তী জমির মালিক। জ

শনি ও রবিবার বিক্রি হওয়া ওই গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনা জানাজানি হলে খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে উপজেলা বন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে কর্তনকৃত গাছগুলো আটক করে ছ মিলের মালিকের জিম্মায় রাখেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৬-৭টি গাছ কাটা হয়েছে। আরো কয়েকটি গাছের গোড়ায় কাটার চিহ্ন রয়েছে। কেটে নিয়ে যাওয়া কয়েকটি গাছের গুঁড়ি কাঁদামাটি দিয়ে ঢেকে দিয়ে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। গাছের গুঁড়ি দেখলে বুঝা যায় একেকটি গাছের মূল্য ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার উপরে। সেখান থেকে বুড়িরহাটে রউফের ছ মিলে রাখা গাছের গুঁড়িগুলো দেখেল বুঝাই যায় গাছগুলো আড়াই লক্ষাধিক টাকার উপরে বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান জানান, রবিবার দুপুরে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই, শনিবার কয়েকটি গাছ কেটে নিয়ে গেছে কাঠ ব্যবসায়ীরা। আরো কয়েকটি গাছ কাটার কাজ চলছে। আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেই এবং শনিবারে কাটা গাছগুলো কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ নেই। গাছগুলো কে বিক্রি করেছে এবং কে কত টাকায় কিনেছে সবকিছু খোঁজ নেই। সেখানে জানতে পারি, সয়ার ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের দুই পুত্র আফজালুল হক ও আনিছুল হক (আনিছ প্রিন্সিপাল) সরকারি রাস্তার প্রায় ৬টি গাছ বিক্রি করেছেন। গাছগুলো প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করেছেন সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী কালা মিয়ার কাছে। ওই ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানতে পারি গাছগুলো বুড়িরহাটের আব্দুর রউফের ছ মিলে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে গাছগুলো চিহ্নিত করে সময় স্বল্পতার কারনে ছ মিলের মালিকের জিম্মায় রেখে আসি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি রাস্তার গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ও চৌকিদার কেউই আমাকে কিছুই জানায়নি। তাই আমি এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। ###